সমর্থকদের মনে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগছে, আফগানদের বিপক্ষে জিতলে কি শেষ রক্ষা হবে? পার হতে হবে অনেক ‘যদি-কিন্তু’র বাঁধা।
দুই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে যাবে দুটি করে দল। ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে যেতে হলে আফগানদের হারানোই শুধু যথেষ্ট নয়, অনেক বড় ব্যবধানে জয়ও প্রয়োজন হবে। গ্রুপের তিন দলই একটি করে ম্যাচ জিতলে এবং পয়েন্ট সমান হয়ে গেলে পরের পর্বে যাওয়ার টিকিট হয়ে উঠবে রানরেট। সেখানে এশিয়া কাপের শুরুতেই বেশ পিছিয়ে যাওয়ায় সেরা চারও অনিশ্চিত টিম টাইগার্সের জন্য।
সুপার ফোরে জায়গা পেতে হলে বাংলাদেশকে মেলাতে হবে কঠিন সমীকরণ। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর লাহোরে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে সাকিববাহিনী। ওই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য ‘ডু অর ডাই’। জিতলে সুযোগ থাকবে সুপার ফোরের। সে সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচের দিকে। হারলে সরাসরি ছিটকে পড়বে টুর্নামেন্ট থেকে।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর লাহোরে মুখোমুখি হবে শ্রীলংকা-আফগানিস্তান। এই ম্যাচে যদি শ্রীলংকা আফগানিস্তানকে হারায় তাহলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে লংকারা সরাসরি চলে যাবে সুপার ফোরে। এতে বাংলাদেশ রানার্সআপ হয়ে শেষ চ্যারে কোয়ালিফাই করবে। কিন্তু শ্রীলংকা যদি আফগানদের কাছে হেরে যায় তখন তিন দলের একটি করে জয়ে হিসেব হবে রানরেটে।
রানরেট বিবেচনায় যে দুই দল এগিয়ে থাকবে তারাই খেলবে সুপার ফোর স্টেজে। তিন দলের সমান একটি করে জয় হলেও রেটিংয়ে পিছিয়ে থাকা দলকে বিদায় নিতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে।