একজন আইনজীবীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তানি টিভি ধারাবাহিক ‘হাদসা’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার মধ্যে ধারাবাহিকটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দ্য পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি। বুধবার (৩০ আগস্ট) এই সিদ্ধান্ত জানায় পেমরা।
২১ আগস্ট থেকে জিও টেলিভিশনে প্রচারে এসেছে ‘হাদসা’। তাসকিন নামের এক নারীকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এ ধারাবাহিকের গল্প। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে অভিযোগ করেন, ধারাবাহিকটির কাহিনির সঙ্গে ২০২০ সালে পাকিস্তানে এক ফরাসি নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণকাণ্ডের মিল রয়েছে।
পাকিস্তানি সাংবাদিক ফারিহা এম ইদ্রিস জানান, সেই নারীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। তিনি ধারাবাহিকটি দেখে মানসিক আঘাত পেয়েছেন। সেই নারীর কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।
সেই ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আলোচনা করে দ্য পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন আইনজীবী মুহাম্মদ আহমেদ পানসোতা। অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্য পাকিস্তান ইলেকট্রনিক মিডিয়া রেগুলেটরি অথরিটি পেমরা অধ্যাদেশ, ২০০২-এর ২৭ ধারা অনুযায়ী ধারাবাহিকটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
একই সঙ্গে ইউকেএস রিসার্চ সেন্টার নাটকটি সম্প্রচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পেমরার কাছে। একজন জীবিত মানুষকে মানসিকভাবে কষ্ট দেয়ার জন্য প্রযোজনা সংস্থা, লেখক, পরিচালক, প্রযোজক এবং পুরো টিমকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
তবে ধারাবাহিকের প্রযোজক ও পরিচালক ওজাহাত রউফ ও অভিনেত্রী হাদিকা কিয়ানি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের দাবি, এটি সেই ফরাসি নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়নি। ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন হাদিকা।