বলা বাহুল্য ব্যাট হাতে নাজমুল হোসেন শান্ত দুর্দান্ত ফর্ম আছেন। আগের ম্যাচে চাপের মুখে ৮৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এবার দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকালেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানের ডেলিভারিটি মিড অনে ঠেলেই দৌড় দিলেন নাজমুল হোসেন। দুই হাত উঁচিয়ে সেঞ্চুরি উদ্যাপনে থেমেছে সে দৌড়। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নাজমুলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির উদ্যাপনটা অবশ্য এটুকুতে শেষ হলো না। এরপর ব্যাটটাকে কোলে নিয়ে নাজমুল যে ভঙ্গি করলেন, তাতে বোঝা যায় যে সেঞ্চুরিটা পুত্রসন্তানকে উৎসর্গ করেছেন।
বাংলাদেশের ইনিংস শেষে টিভি সম্প্রচারকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নাজমুল নিজেই তা নিশ্চিত করলেন, এই সেঞ্চুরিটা আমার ছেলেকে উৎসর্গ করছি। এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে গত ২৫ আগস্ট পুত্রসন্তানের বাবা হন নাজমুল। সেদিনটা আবার নাজমুলের জন্মদিনও।
নাজমুল তাঁর ১০৪ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ১০৫ বলে, ৯টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল তাতে। আজ উদ্বোধনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ১৯৮ রানের জুটি গড়েন। মিরাজও তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেছেন। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ১১৯ বলে ১১২ রানের অপরাজিত ইনিংস। জোড়া সেঞ্চুরির সৌজন্যে বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান করেছে, যা এশিয়া কাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশের ইনিংসে দুজনের এই জুটি নিয়ে নাজমুলকে জিজ্ঞাসা করা হলে বলেছেন, ‘আমরা দুই উইকেট পড়ে যাওয়া নিয়ে চিন্তা করিনি। অবস্থা বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। বলের মেধা বুঝে খেলার চেষ্টা করেছি। তাতেই সাফল্য এসেছে।’ মিরাজের ইনিংসের প্রশংসাও শোনা গেল নাজমুলের কথায়, ‘সে তার মানসিকতাটা দেখিয়েছে। দারুণ ব্যাটিং করেছে।’
জোড়া সেঞ্চুরিতে করা ৩৩৪ রান জয়ের জন্য যথেষ্ট তো? নাজমুল এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, উইকেট ভালো। কিন্তু আমাদের বোলিং আক্রমণ দারুণ ছন্দে আছে। আমরা যদি আমাদের শক্তি অনুযায়ী বল করতে পারি, তাহলে এই ম্যাচটা জিততে পারব।